সাক্ষ্য আইন হলো সাক্ষ্য ও সাক্ষী সম্পর্কে মূল আইন। আইনটিতে তত্ত্বগত আইনের অনেক বৈশিষ্ট্য থাকলেও লক্ষ্য করার মতো একটি বিষয় হলো – অনেকাংশেই এটি পদ্ধতিগত চরিত্রের আইন। কেননা, ফৌজদারি কার্যবিধি ও দেওয়ানি কার্যবিধিদ্বয়ে আদালতের কাজের পদ্ধতি বর্ণনা করা আছে, এমনকি সাক্ষ্য ও সাক্ষী সম্পর্কেও কমবেশি বলা আছে; কিন্তু এগুলোর আরো বিস্তারিত ও সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা সেগুলোতে দেওয়া নেই। বিশেষ করে একটি মামলা বা মোকদ্দমায় কীভাবে প্রমাণ করতে হবে, জেরা বা জবানবন্দির ধরণ-বৈশিষ্ট্য কী হবে, একটি ঘটনা বা বিরোধের বিষয়বস্তু নিয়ে আদালত কোন বিষয়গুলো শুনবে আর কোন বিষয়গুলো পরিতাজ্য ইত্যাদির নির্দেশনা বা ব্যাখ্যা নেই। এসমস্ত ঘাটতি পূরণের কাজটিই করেছে সাক্ষ্য আইন। ফলে, এটি একটি পদ্ধতিগত আইন হিসেবেই স্বীকৃত।
সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ কে আমরা ১১ টি পার্ট এ ভাগ করে পড়বোঃ
পার্ট নং | বিষয়বস্তু | ধারা | মন্তব্য |
পার্ট নং – ১ |
সাক্ষ্য আইনের পরিচয় ও ব্যাখ্যা |
ধারা ১ থেকে ৪ | ১ম খন্ড, ১-৫৫, সাক্ষ্য আইনের মৌলিক কিছু বিষয়, নানা বিষয়ের সংজ্ঞা (ঘটনা বা বিষয়, প্রাসঙ্গিক ঘটনা, বিচার্য বিষয়, দলিল, আদালত ইত্যাদি)। স্বীকৃতি ও দোষ স্বীকারোক্তি, মৃত্যুকালীন ঘোষণা, আদালতের রায় যখন প্রাসঙ্গিক, চরিত্র যখন প্রাসঙ্গিক ইত্যাদি প্রসঙ্গ। |
পার্ট নং – ২ | ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা | ধারা ৫ থেকে ১৬ | |
পার্ট নং – ৩ |
১) স্বীকৃতির প্রসঙ্গ : ১৭-২৩ ধারা ২) স্বীকারোক্তি বা দোষ স্বীকার প্রসঙ্গ : ২৪-৩১ ধারা |
ধারা ১৭ থেকে ৩১ | |
পার্ট নং – ৪ |
১) যে সকল লোককে সাক্ষী হিসেবে তলব করা যায় না তাদের বিবৃতি ২) বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রদত্ত বিবৃতি
|
ধারা ৩২ থেকে ৩৯ | |
পার্ট নং – ৫ |
১) আদালতের রায় যখন প্রাসঙ্গিক ২) চরিত্র যখন প্রাসঙ্গিক |
ধারা ৪০ থেকে ৫৫ | |
পার্ট নং – ৬ |
১) যে সমস্ত ঘটনা প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই ২) মৌখিক সাক্ষ্য |
ধারা ৫৬ থেকে ৬০ | ২য় খন্ড, ৫৬-১০০, প্রমাণ। যে সকল ঘটনা প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই, মৌখিক সাক্ষ্য, দলিলী সাক্ষ্য, সরকারি দলিল, দলিল সম্পর্কে অনুমান এবং দলিলী সাক্ষ্য দ্বারা মৌখিক সাক্ষ্য বর্জন । |
পার্ট নং – ৭ | দলিলী সাক্ষ্য কী, তার প্রকারভেদ এবং আদালতে কীভাবে এসব প্রমাণ করতে হয় | ধারা ৬১ থেকে ৭৩ | |
পার্ট নং – ৮ | সরকারি ও বেসরকারি দলিলের প্রমাণ, দলিল সম্পর্কে অনুমান, দলিলী সাক্ষ্য দ্বারা মৌখিক সাক্ষ্য বর্জণ ইত্যাদি | ধারা ৭৪ থেকে ১০০ | |
পার্ট নং – ৯ |
১) প্রমাণের দায়িত্ব এবং ২) স্বীকৃতির বাধা |
ধারা ১০১ থেকে ১১৭ | ৩য় খণ্ড, সাক্ষ্য উপস্থান ও তার ফল, ১০১-১৬৭। প্রমাণের দায়িত্ব, স্বীকৃতির বাধা, সাক্ষী, সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ এবং অন্যায়ভাবে সাক্ষ্য গ্রাহ্য ও অগ্রাহ্য করা। |
পার্ট নং – ১০ | সাক্ষী – কে সাক্ষী হতে পারে, কখন কোন শর্তে কোনো বক্তব্য সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে কি পারে না ইত্যাদি | ধারা ১১৮ থেকে ১৩৪ | |
পার্ট নং – ১১ |
১) সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ এবং ২) অন্যায়ভাবে সাক্ষ্য গ্রাহ্য ও অগ্রাহ্য করা |
ধারা ১৩৫ থেকে ১৬৭ |
Course Features
- Lectures 12
- Quizzes 0
- Duration 10 weeks
- Skill level All levels
- Language English
- Students 0
- Assessments Yes
-
পার্ট নং- ১, সাক্ষ্য আইনের পরিচয় ও ব্যাখ্যা, ধারা ১ থেকে ৪
-
পার্ট নং- ২, ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা, ধারা ৫ থেকে ১৬
-
পার্ট নং- ৩, স্বীকৃতির প্রসঙ্গ, স্বীকারোক্তি বা দোষ স্বীকার প্রসঙ্গ, ধারা ১৭ থেকে ৩১
-
পার্ট নং- ৪, যে সকল লোককে সাক্ষী হিসেবে তলব করা যায় না তাদের বিবৃতি, বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রদত্ত বিবৃতি, ধারা ৩২ থেকে ৩৯
-
পার্ট নং- ৬, যে সমস্ত ঘটনা প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই, মৌখিক সাক্ষ্য, ধারা ৫৬ থেকে ৬০
-
পার্ট নং- ৭, দলিলী সাক্ষ্য কী, তার প্রকারভেদ এবং আদালতে কীভাবে এসব প্রমাণ করতে হয়, ধারা ৬১ থেকে ৭৩
-
পার্ট নং- ৮, সরকারি ও বেসরকারি দলিলের প্রমাণ, দলিল সম্পর্কে অনুমান, দলিলী সাক্ষ্য দ্বারা মৌখিক সাক্ষ্য বর্জণ ইত্যাদি, ধারা ৭৪ থেকে ১০০
-
পার্ট নং- ৯, প্রমাণের দায়িত্ব এবং স্বীকৃতির বাধা, ধারা ১০১ থেকে ১১৭
-
পার্ট নং- ১০, সাক্ষী - কে সাক্ষী হতে পারে, কখন কোন শর্তে কোনো বক্তব্য সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে কি পারে না ইত্যাদি, ধারা ১১৮ থেকে ১৩৪
-
পার্ট নং- ১১, সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ এবং অন্যায়ভাবে সাক্ষ্য গ্রাহ্য ও অগ্রাহ্য করা, ধারা ১৩৫ থেকে ১৬৭